এ আই রবি, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান:
প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হয়। একজন শিশু জন্মগ্রহণ করার সাথে সাথেই একজন বাবারও জন্ম হয় । সম্পর্কটা অনন্তকালের। বাবা হবার পর একজন মানুষ তার সন্তানের মাঝে নিজেকে খুঁজে পায়। সন্তান শিখতে শুরু করে তার বাবার কাছে। জীবন চলার পথে বাবাকে পায় ছায়া হিসেবে । কিন্তু বাবাকে না বলা অনেক কথা, অনেক অনুভূতি হয়তো আমাদের না বলাই থেকে যায় । আবার বাবার না বলা ইচ্ছাগুলোও হয়তো আমাদের আর জানা হয়ে ওঠে না।
বাবা দিবস উপলক্ষে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভবত গ্রহণযোগ্য গল্পটি হলো, ওয়াশিংটনের সোনোরা লুইস স্মার্ট নামের একজন নারী এই দিন উদযাপন শুরু করেন। ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে তার মা মারা গেলে তার বাবা পরিবারটিকে বড় করে তোলেন।
১৯০৯ সালে সোনোরা গির্জার একটি বক্তব্যে মা দিবসের কথা জানতে পারেন। তখন তার মনে হলো, বাবার জন্যেও এরকম একটি দিবস থাকা উচিত।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন ধর্মযাজক তার এই আইডিয়াটি গ্রহণ করেন। ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯ জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবসটি পালন করা হয়, যদিও তা আনুষ্ঠানিক ছিল না।
১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতি বছর জুনের তৃতীয় রবিবার বাবা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। ছয় বছর পর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এটিকে আইনে পরিণত করেন।
বাবা দিবস উপলক্ষে জনপ্রিয় কিছু অনুভূতি!
বাবাদের শার্টগুলো বেশির ভাগ সময়
মা-দের শাড়ি থেকে দামী হয় না,
বাবাদের ওয়ারড্রপ ভর্তি শার্ট
প্যান্ট থাকে না,
বাবাদের জুতা চলে বছরের পর বছর ,
মোবাইলটা একেবারে
নষ্ট না হলেও বদলান না,
ঘড়িটা বৃদ্ধ হয় তবুও হাতেই থাকে।
একা খেতে হলে সব চেয়ে সস্তা হোটেল খোঁজে,
একা কোথাও গেলে বাসে চড়ে।
রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সঞ্চয় করে।
অথচ স্ত্রী সন্তান কে সাধ্যের সব চেয়ে দামী
জিনিসগুলো কিনে দেয়।
বাবারা একান্ত বাধ্য না হলে
কখনো #না বলে না।
নিজের জন্য সব চেয়ে কৃপণ
বাবাটা তার স্ত্রী সন্তানের জন্য
সব চেয়ে বেশি বেহিসাবী।
Leave a Reply